ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : দোষী প্রমাণিত হলে আট থেকে ২৫ বছর জেল হতে পারে অভিযুক্তদের। শুনানি শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। আগামী চার মাস চলতে পারে। এর মধ্যে অন্তত ১২০ জনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে।
আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজতে আর্জেন্টিনার আদালতে চলছে শুনানি। সেখানেই একটি তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। তার দাবি, তীব্র কষ্টে মৃত্যু হয়েছে ম্যারাডোনার। মৃত্যুর আগে অন্তত ১২ ঘণ্টা অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ফরেনসিক চিকিৎসক কার্লোস কাসিনেল্লি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন তিনিই। সেই কার্লোস বলেছেন, ‘গোটা হৃদ্যন্ত্র চর্বি ও জমাট বাঁধা রক্তে পুরোপুরি ঢাকা ছিল। এতেই বোঝা গিয়েছে মৃত্যুর আগে উনি কতটা কষ্ট পেয়েছেন।’
ময়নাতদন্তের পর জানানো হয়েছিল, ম্যারাডোনা ‘অ্যাকিউট পালমোনারি ওডেমা’র কারণে মারা গিয়েছেন, যা থেকে হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছিল। তবে কার্লোসের দাবি, ম্যারাডোনা এমন রোগী ছিলেন না যাকে বাড়িতেই চিকিৎসা করা যেত। তার কথায়, ‘উনি এমন রোগী ছিলেন যার ফুসফুসে মৃত্যুর অন্তত ১০ দিন আগে থেকে পানি জমছিল। এটা ঠিক নয়। তার চিকিৎসায় যারা জড়িত ছিলেন তাদের আগে থেকেই এটা বোঝা উচিত ছিল।’
কয়েকজন সাক্ষী জানিয়েছেন, মৃত্যুর সময় ম্যারাডোনার মুখ ও তলপেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ছিল। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েক দিন তার শরীর একেবারেই ভালো ছিল না।
মৃত্যুর পর থেকেই অভিযোগ ওঠে, এ মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। বুয়েন্স আইরেসের একটি আদালতে ম্যারাডোনার মৃত্যুরহস্য নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন সাতজন, যার মধ্যে ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিয়োপোল্দো লিউক ও মনোচিকিৎসক অগাস্তিনা কোসাচভ রয়েছেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ম্যারাডোনা যে ওষুধ খেতেন, তা কোসাচভের পরামর্শেই।
দোষী প্রমাণিত হলে আট থেকে ২৫ বছর জেল হতে পারে অভিযুক্তদের। শুনানি শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। আগামী চার মাস চলতে পারে। এর মধ্যে অন্তত ১২০ জনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে।
১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণ করা ম্যারাডোনা ঠিক ৬০ বছর বয়সে অনন্তলোকের পথ ধরেন। এই জীবনে অবিশ্বাস্য কীর্তি রেখে যান তিনি। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন তিনি। মোট চারটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯১ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৪ গোল।